চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নগরীর নিচু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাত থেকে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়।
দিনের শুরু থেকে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ এবং নানা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া নগরবাসীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ বলেছেন, “এই বৃষ্টি আরও দুই দিন থাকতে পারে।”
শেখ ফরিদ আহমদ আরও বলেছেন, বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
আজ নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরাইপাড়া, হালিশহর, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ সিডিএ, বহদ্দারহাট, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার এলাকা হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। অফিসগামীরা পায়ে হেঁটে ও রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে গেছেন।
সকালে ষোলশহর এলাকায় অফিসগামী মোহাম্মদ আলী বলেন, “চট্টগ্রামে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টা পানিতে দাঁড়িয়ে আছি কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। জনপ্রতিনিধিদের খামখেয়ালির কারণে চট্টগ্রাম নগরবাসীর এ দুঃখ যাচ্ছে না।
এদিকে জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কর্মজীবী নারীরা। সড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় হাঁটুপানি মাড়িয়ে যেতে হয় কর্মস্থলে।
জলাবদ্ধতার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া নগরবাসীর চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পানি ঢুকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নষ্ট হয়ে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায়। জলাবদ্ধতার কারণে দুই নম্বর গেট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।”
দুর্ভোগের কথা জানিয়ে নাছিমা আখতার নামের এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, “কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে আটকে গেছি। যে পরিমাণ পানি, কোনোভাবেই চলাফেরা করা যাচ্ছে না। রিকশা ভাড়াও বেশি নিয়েছে। সড়কে সকালে ছিল না পর্যাপ্ত বাসও।”